গত মাসে পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় মদদের জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে ভারত।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য ছিল—সেনাদের আভিযানিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও উন্নত কৌশলগত বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত দক্ষতা যাচাই করা।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা এবং সামরিক বাহিনীর প্রধানরা সংশ্লিষ্ট সেনা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁরা পাকিস্তানের কৌশলগত বাহিনীর আভিযানিক প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন, যাতে তারা যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধ নিশ্চিত এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারে।’
পাকিস্তানের বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ একটি সতর্কবার্তা। সামরিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, ‘এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতকে মোকাবেলার জন্য আমাদের কাছে রসদ আছে।
ভারত বিমান হামলা করতে পারে বলে চলতি সপ্তাহে সতর্ক করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করা ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ গত শুক্রবার সতর্ক করে বলেছেন, সিন্ধু পানি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারত বাঁধ নির্মাণ করলে হামলা চালাবে পাকিস্তান।
খাজা আসিফ বলেন, ‘আগ্রাসন শুধু কামানের গোলা বা গুলি চালানোর বিষয় নয়, তা অনেকভাবে চালানো যায়। এর একটি হলো প্রবাহিত পানি আটকানো, যা ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে অনেকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, যদি তারা কোনো অবকাঠামো নির্মাণের প্রচেষ্টা করে, তাহলে পাকিস্তান তা ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু আপাতত আমরা সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা করছি।
আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নাটক সাজানোর তীব্র সমালোচনা করেন খাজা আসিফ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের ওপর বিশ্বব্যাপী চাপ আগের চেয়েও বেড়েছে। হুমকি এড়ানো গেছে, এমনটা বলব না। সূত্র : এএফপি, ডন, জিও নিউজ