লাইফস্টাইল ডেস্ক:
আধুনিক যুগে নারীদের সৌন্দর্যচর্চা অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক ও নিয়মতান্ত্রিক হয়েছে। বিশেষ করে মুখের পরিচর্যা নিয়ে সচেতনতা এখন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে অপরীক্ষিত প্রসাধনী ব্যবহার না করে, ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর।
বিভিন্ন পার্লার, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ইউটিউব ও ফেসবুক পেজ থেকে নারীরা এখন ঘরে বসেই মুখের যত্ন নেওয়ার নানা কৌশল শিখছেন। মুখের ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং ছাড়াও ফেসিয়াল, স্ক্রাবিং, হোমমেড প্যাক— এসব শব্দ এখন অনেকের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ।
ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার জরুরি
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন সুলতানা বলেন, “সব নারীর ত্বক একরকম নয়। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও তৈলাক্ত, আবার কারও সংবেদনশীল। এক্ষেত্রে মুখের যত্নে ব্যবহৃত প্রোডাক্ট অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করা উচিত। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় অনলাইন থেকে কেনা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে স্টেরয়েড বা ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে, যা মুখে চিরস্থায়ী দাগ বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
বাড়ছে প্রাকৃতিক উপাদানের চাহিদা
সাম্প্রতিক সময়ে নারীরা প্রাকৃতিক উপাদান যেমন—আলোভেরা, কাঁচা দুধ, মধু, গোলাপজল, বেসন, দই ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকের দিকে ঝুঁকছেন। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা কম এবং খরচও সাশ্রয়ী। তবে এগুলোরও সঠিক নিয়ম না জানলে ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী যত্নে ধৈর্যই মূল চাবিকাঠি
ত্বকের পরিচর্যায় রাতারাতি ফল পাওয়া যায় না, বলছেন সৌন্দর্য প্রশিক্ষক তানজিলা রহমান। “অনেকে একটা মাস্ক বা ক্রিম ব্যবহার করেই ফল না পেয়ে হতাশ হন। অথচ স্কিন কেয়ার একটি ধৈর্য ও ধারাবাহিকতার বিষয়। ভেতর থেকে সুস্থ ত্বক গড়তে পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ঘুমও জরুরি।”
উপসংহার:
নারীদের মুখের পরিচর্যা এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার অংশ। তবে বিজ্ঞাপন বা ট্রেন্ডের পেছনে না ছুটে, সঠিক তথ্য জেনে ও নিজের ত্বক বুঝে যত্ন নেওয়াই নারীর জন্য নিরাপদ ও কার্যকর পথ। সঠিক পরিচর্যায় সুস্থ ও দীপ্তিময় মুখ পাওয়া একদম সম্ভব।