জলবসন্ত হওয়ার পরও নিয়মিত গোসল করা যায়। এতে কোনো সমস্যা হয় না। তবে গোসল শেষে শরীর ঘষে মোছা যাবে না, আলতো করে মুছে নিতে হবে। স্বাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। রোগীর ব্যবহৃত পোশাক, বিছানার চাদর, শোবার ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এ রোগে শরীরে দাগ হয়, তাই এ সময়ে ডাবের পানি খুব উপকারী এবং ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া ও গোসল করলেও উপকার পাওয়া যাবে। রোগীকে একগাদা কাপড়চোপড়ে না জড়িয়ে তাকে হালকা সুতির কাপড় কিংবা পায়জামা পরান৷ রোগীর ত্বক ঠান্ডা থাকলে কম অস্বস্তি বোধ করবে৷
জটিলতা
নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। ত্বকের সংক্রমণ, স্কারলেট জ্বর, নিউমোনিয়া, হাড়ের সংক্রমণ, মস্তিষ্ক ও কিডনির প্রদাহ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি রোগ হতে পারে। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মায়ের গর্ভের সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে অথবা সন্তান বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে।
বড়দের জলবসন্ত হলে কী করবেন
চিকিৎসা কী?
এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো, ফুসকুড়ি না শুকানো পর্যন্ত রোগীকে আলাদা করে রাখা এবং উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে যদি রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে, তাহলে ভাইরাসজনিত রোগের কোনো চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না।
কীভাবে চুলকানি নিবারণ করা যায়?
চেষ্টা করতে হবে না চুলকানোর। কারণ, চুলকানোর ফলে সংক্রমণ হতে পারে এবং ত্বকে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে৷ তবে প্রবল চুলকানিকে সব সময় পুরোপুরি উপেক্ষা করা যায় না। সে ক্ষেত্রে আলতোভাবে চুলকানো যেতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে চুলকানির ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তাজা নিমপাতা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করালে বেশ ভালো উপকার হয়।