গত মঙ্গলবার সিজি রানার বিডি লিমিটেডের আয়োজনে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ‘মিডিয়া ড্রাইভ’ পরিচালনা করা হয়। সেখানে গাড়িটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিওয়াইডি ফ্ল্যাগশিপ বিক্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে মাওয়া হিলশা রেস্তোরাঁ পর্যন্ত ‘বিওয়াইডি মিডিয়া ড্রাইভ’ অনুষ্ঠানে গাড়িটির পারফরম্যান্স ও সুবিধা সরেজমিনে পরখ করেন সাংবাদিক ও অতিথিরা।
জানা গেছে, গাড়িটিতে ৬০ লিটার ফুয়েল ট্যাংক ও ট্রাকশন ১৮.৩ কিলোওয়াট ব্যাটারি রয়েছে। এতে রয়েছে ডিএমআই প্লাগ-ইন হাইব্রিড ধরনের অকটেন ইঞ্জিন ও শক্তিশালী ইলেকট্রিক মোটর। ফলে শূন্য থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সময় লাগবে মাত্র ৮.৫ সেকেন্ড। ক্রেতারা চাইলে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০ শতাংশ ঋণের মাধ্যমে গাড়িটি কিনতে পারবেন।
বিওয়াইডি গ্রাহক অভিজ্ঞতা বিশেষজ্ঞ রেজওয়ান রহমান বলেন, ‘বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স একটি প্লাগইন হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি। এটির সুবিধা হচ্ছে শুধু ইলেকট্রিক চার্জেও চালাতে পারবেন।
এ ছাড়াও এডিএএস, ৩৬০ ডিগ্রি এইচডি ক্যামেরা ও ছয়টি এয়ার ব্যাগের মতো উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি আছে গাড়িটিতে। এ ছাড়াও রয়েছে প্যানারোমিক সানরুফ। ফলে দূরের যাত্রায় মাথার ওপরের এই ছাদ খুলে নীল আকাশও উপভোগ করা যায়।
গাড়ির ভেতরে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চির স্মার্ট রোটেটিং টাচস্ক্রিন, ১০ স্পিকারের ইনফিনিটি প্রিমিয়াম অডিও সিস্টেম, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট ও প্যানারমিক সানরুফ। সিলায়ন ৬ হারবার গ্রে, স্টোন গ্রে, আর্কটিক হোয়াইট ও ডিলান ব্ল্যাক—এই চারটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে গাড়িটি। এটি ইকো, নরমাল ও স্পোর্ট, এই তিনটি ড্রাইভিং মোডে চালানো যাবে। গাড়িটির বর্তমান ওজন এক হাজার ৯৪০ কেজি। গাড়ির সামনে চাইলে যে কেউ তাঁর মোবাইল ফোন তারবিহীনভাবে চার্জ দিতে পারবেন। এ ছাড়া সামনে ও পেছনে ইউএসবি ও টাইপ সি চার্জিং পদ্ধতি রয়েছে। আরো জানা গেছে, গাড়িতে প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে রাখতে চাবির বিকল্প হিসেবে এনএফসি কার্ড রয়েছে। এই কার্ড দিয়ে গাড়ির দরজা খোলার পাশাপাশি গাড়ি চালুও করা যাবে। প্রতিটি গাড়ির জন্য থাকবে একটি কার্ড। গাড়ির চাবিও থাকবে। এ ছাড়াও ভয়েস কন্ট্রোলের মাধ্যমে গাড়ির বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
গাড়িটির জন্য আট বছর বা এক লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার (যেটি আগে আসে) এবং ড্রাইভ ইউনিটের জন্য আট বছর বা এক লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার ওয়ারেন্টি রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রধান যন্ত্রাংশের জন্য ছয় বছর বা এক লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার ওয়ারেন্টি। ফিল্টার, ব্রেক প্যাড, টায়ার ও অন্যান্য উপকরণের জন্য ছয় মাস বা পাঁচ হাজার কিলোমিটার ওয়ারেন্টি সুবিধা রয়েছে।