পাটের তৈরি ম্যাক্রামি বা হস্তশিল্পে বোনা দেয়ালঝুল এখন অনেক বাসার হাইলাইটেড দেয়ালের প্রধান আকর্ষণ। বেডরুম বা লিভিংরুমে হালকা রঙের দেয়ালে এক টুকরা পাটের কারুকাজ যেন নিঃশব্দে গৃহকর্তার রুচির গল্প বলে দেয়। এক পাশে ছোট ইনডোর গাছ, নিচে কাঠের চেয়ারে ছুঁয়ে থাকা পাটের ম্যাট—চেনা ঘরটিই যেন হয়ে ওঠে গ্যালারি।
ঝুড়ি
পাটের ঝুড়ি মানেই শুধু মালপত্র রাখার জায়গা নয়।
ঘরের পরিবেশ বদলাতে চাইলে সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে এক টুকরা পাটের ম্যাট। টি টেবিলের নিচে, বিছানার পাশে বা বারান্দায় চেয়ারের সামনে বিছিয়ে দিতে পারেন। পাটের টেক্সচারে পা ছোঁয়ার আলাদা একটা অনুভব আছে। আছে এক ধরনের মাটির উষ্ণতা।
ল্যাম্পশেড
পাটের তৈরি ঝুলন্ত বা টেবিল ল্যাম্পশেডে আলো জ্বাললে আলো-ছায়ার মিশেলে বেশ স্নিগ্ধ হয়ে উঠবে ঘরটি। ডাইনিং টেবিলের ওপর ঝুলন্ত ল্যাম্পশেড বা বেডসাইড টেবিলের পাট-আচ্ছাদিত বাতির আলো দেখতে যেমন ভালো লাগবে, তেমনি মনে চমত্কার একটি অনুভূতি তৈরি করবে।
ফুলদানি ও কাভার
পাট মোড়ানো ফুলদানি কিংবা জুট কাপড়ে তৈরি টব কাভার হতে পারে ইনডোর গাছপালার প্রিয় সঙ্গী। সাদা বা একরঙা দেয়ালের কোণে এমন একটি ফুলদানি রাখলে ঘরে আসবে বোহেমিয়ান টাচ। এতে শুকনা ফুল বা কাগজে তৈরি ফুল রাখলে আরো দারুণ লাগবে।
কুশন কাভার
পাটের কুশন কাভার আজকাল উঠে এসেছে আধুনিক ঘরের সজ্জায়। কাঠ বা রট আয়রনের সোফার সঙ্গে হালকা রঙের পাট কুশন দারুণ মানিয়ে যায়। রঙের ভারসাম্য রাখতে একরঙা কুশনের সঙ্গে দু-একটি কারুকার্যময় পাটের কুশন কাভার ঘরের আবহে যোগ করে নতুন মাত্রা।
ছোট আসবাব
পাট মোড়ানো ছোট টুল, সাইড টেবিল বা ফোল্ডিং চেয়ার এখন অনেক স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে দেখা যায়। দেখতে বেশ লাগে। জানালার পাশে রাখা টুলের ওপর বই আর কফির কাপ রেখে একটি ম্যাট বিছিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় ছোট্ট একটি কোণ, যেখানে বই পড়া, গান শোনা বা নিছকই বিশ্রামের জন্য হয়ে উঠতে পারে মনোরম একটি জায়গা।
টেবিল ম্যাট ও ট্রে
ডাইনিং টেবিলে পাটের ম্যাট আর সঙ্গে পাটের তৈরি ট্রে খাবার পরিবেশনায় ভিন্ন এক রূপ এনে দেবে। একেবারে গ্রামীণ পরিপাটি রূপ। গ্লাস বা সিরামিক পাত্রের সঙ্গে পাটের ম্যাচিং ম্যাট ঘরের সাধারণ আবহকেও করে তুলবে উৎসব মুখর।
পাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পাটের সৌন্দর্য আসলে তার সরলতায়। বাড়তি জাঁকজমক ছাড়াই চোখ আটকে যায় তার সৌন্দর্যে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাট পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং আমাদের দেশের মাটিতেই জন্ম নেওয়া। ঘরসজ্জায় পাটপণ্যের ব্যবহার ঘরে আনে আভিজাত্য। প্রকৃতি, দেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতাও প্রকাশ পায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহারে।