শেখ সাদীর উক্তিঃ মধ্যযুগের আল্লামা শেখ সাদী (রাঃ) ছিলেন একজন কিংবদন্তি পারস্য কবি। তিনি শাদী সিরাজী নামেও পরিচিত। তার সেরা ১০০ টি বইয়ের মাঝে গুলিস্তা ও বোস্তাঁ এই দুটি বই সর্বকালের সেরা স্থান পেয়েছে। শেখ সাদী তার উক্তি ও বাণীর মাধ্যমে এমন স্তরে পৌঁছেছেন, যেখানে মানুষ তার সবটুকু উজাড় করে দিয়ে তার উক্তি গ্রহণ করেছে।
আজকের সিরিজে সাজানো হয়েছে শেখ সাদীর উক্তি ও উপদেশ বা বাণী সম্পর্কে। শেখ সাদীর উক্তি আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি তার উক্তি আমরা হৃদয়ে লালন করি। তিনি বিভিন্ন কবিতা বাণী আমাদের জন্য রেখে গিয়েছেন। বালাগাল উলা বি কামালিহি কবিতা শেখ সাদীর একটি বিখ্যাত কবিতা। চলুন তাহলে শেখ সাদীর বিখ্যাত উক্তি গুলি আমরা জেনে নেই।
অন্য পোস্ট-
মধ্যবিত্ত নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস
একাকীত্ব নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস
Table of Contents
শেখ সাদীর উক্তি
!-
“বল অপেক্ষা কৌশল শ্রেষ্ঠ ও কার্যকারী।”
“বানরকে স্নেহ করিলে মাথায় উঠে।”
“বিড়ালকে স্নেহ করিলে কোলে উঠে।”
“”
“পথের সম্বল অন্যের হাতে রাখিও না”।
“পরিক্ষা ভিন্ন কিছু বিশ্বাস করিও না।”
“
“তুমি যদি উচ্চ সম্মান লাভ করিতে চাও, তবে
তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে⎯⃝
নিজের মতো দেখতে অভ্যাস করিও।
তাকে সামান্য মনে না করিয়া সম্মান করিবে।”
“
“না শিখিয়া ওস্তাদি করিও না”।
“
“নিজের হাতের উপার্জিত ১ টি রুটি,
অন্যের দয়ায় দেওয়া
কোরমা পোলাওয়ের চাইতে উত্তম।”
“
“প্রতিশ্রুতি খুব কম দিও।
দয়া করবার আগে ন্যায়বান হও।”
“
“স্ত্রী লোককে বেশী বিশ্বাস করিও না।”
“সকল কাজেই মধ্যপন্থা অবলম্বন করিও।”
“
অন্য পোস্ট –
শেখ সাদীর বিখ্যাত উক্তি ও বাণী
>
১. “অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে
সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
এটা যদি সবাই জানত তাহলে
কেউ অজ্ঞ হতো না।”
“
২. “অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।”“
৩. “বেশিরভাগ মানুষ এমনভাবে
জীবনযাপন করে⎯⃝
যেন কখনো মরতে হবে না।
আবার এমনভাবে মরে যায়,
যেন কখনো বেঁচেই ছিল না!!
যা কাঙ্ক্ষিত নয়। সুতরাং তুমি ব্যতিক্রমি হও।”
“
৪. “হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা,
নীরিহ হরিণের উপর জুলুম করার নামান্তর।”
“
৫. “যে মানুষ সৎ,,,,
নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না।”
“
৬. “প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায়,
–কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।”
“
৭. “দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে
কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো,
⋆⃝✿কারণ তুমি জান না,
দেয়ালের পেছনে কে
কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।”
“
৮. “মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মতো,
যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে
আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়।
তাই কথা বলার সময়
⎯⃝খুব চিন্তা করে বলবে।”
“
“মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা,
সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখতে পায় না।”
“
“দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে
কথাবার্তা বলো,
যেন তারা পরস্পরে মিলে গেলেও
তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।”
“
“বাঘ না খেয়ে মরলেও
কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তোলে না।
সুতরাং বিপদ বা দুর্দশা আসলেও
ব্যক্তিত্ব নষ্ট হতে দিও না।”
“
“জীবনে যা আবশ্যক
তাহা যৌবনেই সংগ্রহ করো।
যৌবনই জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়
একে হেলায় নষ্ট করো না।”
“
“
“(ক) স্ত্রী লোেক;
(খ) জ্ঞানহীন মূর্খ;
গ) শত্রু;
এই তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলো না।”
“
“তুমি যদি উচ্চ সম্মান লাভ
করতে চাও তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে
নিজের মতো দেখতে অভ্যাস করো।
তাকে সামান্য মনে না করে সম্মান করবে।”
“
শেষকথা
শেখ সাদীর উক্তি, বাণী ও উপদেশ গুলি আমাদের প্রত্যেকেরই মেনে চলা উচিত। তিনি মানব জীবনের জন্য অনেক মূল্যবান উক্তি রেখে গিয়েছেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনি শেখ সাদীর উক্তি বাণী ও উপদেশ গুলি কপি এবং শেখ সাদীর উক্তি স্ট্যাটাস ছবি ডাউনলোড করতে পেরেছেন।
অন্য পোস্ট –
শেখ সাদী নামের অর্থ কি?
“শেখ সাদী” নামের অর্থ সৌভাগ্যবান শিক্ষক, সমৃদ্ধ বিদ্বান, সুখী জ্ঞানী ব্যক্তি, সফল শিক্ষক, বিজয়ী বিদ্বান ইত্যাদি।
শেখ সাদী কোন ভাষার কবি ছিলেন?
শেখ সাদী ছিলেন একজন ফার্সি ভাষার কবি। তিনি মধ্যযুগের বিখ্যাত ফার্সি কবিদের একজন বিখ্যাত কবি হিসেবে পরিচিত।
শেখ সাদীর পুরো নাম কি?
শেখ সাদীর পুরো নাম শায়েখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দীন সাদি ইবনে আব্দুল্লাহ শিরাজি।
তিনি শেখ সাদি বা সাদি শিরাজি নামেও পরিচিত ছিলেন।
শেখ সাদীর জন্ম এবং মৃত্যু কবে?
শেখ সাদীর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ নিয়ে সামান্য বিতর্ক রয়েছে। তবে, বেশিরভাগ তথ্যসূত্র অনুযায়ী,
জন্ম:
বছর: ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দ (৫৮৯ হিজরি)
স্থান: শিরাজ, ইরান
মৃত্যু:
বছর: ১২৯৪ খ্রিস্টাব্দ (৬৯২ হিজরি)
স্থান: শিরাজ, ইরান
