গরমে মাথার ত্বকে ঘাম জমে। এ সময় লোমকূপ থেকে তেল নিঃসৃত হয়। এতে চুলের গোড়া নরম হয়, চুল হয়ে যায় আঠালো ও অনুজ্জ্বল। ঘাম ও ধুলাবালির কারণে মাথার ত্বকে চুলকানি হতে পারে।
চুল শুকানো
শ্যাম্পু করার পর দ্রুত চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল বাঁধবেন না। চুল শুকিয়ে আলগা করে বেঁধে রাখুন। মাথা ঘেমে গেলে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।
তেল ব্যবহার
রোজ শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল কমে যায়। এ জন্য সপ্তাহে ১-২ দিন রাতে নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া উচিত। এতে চুল কোমল হয়। তবে অতিরিক্ত তেল দেওয়াও ভালো নয়। এতেও স্কাল্প ঘেমে গোড়া নরম হওয়া, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলে পরিমিত তেল দিয়ে ৩০ মিনিট খোলা রেখে হালকা করে বেঁধে নিন। তেল দেওয়ার আগে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিন। ১ দিন পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। জরুরি প্রয়োজনে তেল দেওয়ার ৩০ মিনিট পরও চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। তেল বা শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ স্কাল্প সতেজ রাখবে।
রোদ থেকে সুরক্ষা
রোদে বাইরে বের হলে ছাতা, ওড়না কিংবা টুপি ব্যবহার করুন। এতে চুল কড়া রোদ ও ধুলাবালি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
মাথার ত্বকের রোগ দমন
চুলকানি ও খুশকির সহজ সমাধান চিনি। পরিষ্কারক দ্রব্য হিসেবে চিনি বেশ কার্যকর। একটি পাত্রে পরিমাণমতো শ্যাম্পু, সামান্য পানি ও ১ চামচ চিনি মিশিয়ে ফেনা তৈরি করুন। মিশ্রণটি দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করুন। চুলকানি এড়াতে লেবুর রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে ভালো করে ত্বকে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কার্যকর।
চুলের আর্দ্রতা
চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘরোয়া প্যাক তৈরি করে নিয়মিত লাগাতে পারেন। পেঁয়াজ ও মেথি সমপরিমাণে নিয়ে বেটে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করতে হবে। প্যাকটি চুল ঝলমলে করার পাশাপাশি যেমন নতুন চুল গজায়, তেমনি চুল পড়াও কমায়। ভাতের মাড়, অ্যালোভেরা জেল ও শ্যাম্পুর মিশ্রণ সমপরিমাণে অ্যালোভেরা, ভাতের মাড় ও আপনার পছন্দের যেকোনো শ্যাম্পু মিশিয়ে ত্বকসহ চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুতে হবে।