গতকাল দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশে চলমান মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে তীব্র রূপ (৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি) ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা না থাকায় গ্রীষ্মের এই চিরচেনা প্রখর উত্তাপ থাকতে পারে অন্তত আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত। তবে সোমবার দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এদিন তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের হিসাবে, (গতকাল) দেশের ৪৫ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকালও (আজ) পরিস্থিতি একই রকম থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এ ছাড়া রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশসহ ঢাকা,ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়েও। আজ শনিবারও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১.২ ডিগ্রি, যা এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আগের দিনও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই জেলায়, ৩৯.৭ ডিগ্রি।
রাজধানীতেও গতকাল চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে ১.২ ডিগ্রি। গতকাল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.২ ডিগ্রি। এ বছর রাজধানীতে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল দুপুরের পর জেলার রাস্তাঘাটে মানুষ ছিল তুলনামূলক কম। একান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তবে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ কাজের তাগিদে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই বের হচ্ছে।
শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকার রিকশাচালক জমির উদ্দীন বলেন, ‘সকালে বাজারে কিছু লোকজন ছিল। দুপুরের পর থেকে কোনো যাত্রী নেই। গাছের নিচে অলস বসে সময় পার করছি।’
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি]