যশোরের মনিরামপুরে স্বরুপজান ওরফে সাথী (৩৩) নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী-সতিন পলাতক রয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত সাথী উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বামী-সতিন মিলে তাকে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আব্দুর রশিদ মিন্টুর ধানের চাতালে কাজ করতেন সাথী। পরে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মিন্টু তাকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে মেনে নিতে নারাজ ছিলেন প্রথম স্ত্রী সুমা পারভীন। ফলে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলে আসছিলো। মিন্টুর চাতালের একটি ছোট ঘরে বসবাস করতেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী। গত রোববার রাতের কোন এক সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ ফেলে রাখে। সকালে সতিনের মেয়ে ফাতেমা রক্তাক্ত অবস্থায় সাথীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বরকে জানান। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী মিন্টু ও সতিন সুমা পারভীন মিলে সাথীকে হত্যার পর পালিয়ে গেছে।
মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাথীর গলাকাটা লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মিন্টু ও তার অপর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। নিহতের ভাই বাদি হয়ে মামলা করেছেন মনিরামপুর থানায়। পলাতকদের আটকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।