এদিকে, আজ সকালে ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে অংশ নিতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় নানান বয়সের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে দল বেঁধে ছুটে আসেন মসজিদে। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত ৯টায় ও চতুর্থ জামাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বেলা পৌনে ১১টায়।
আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড় থেকে শুরু করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্বসহ মসজিদে প্রবেশের সব পথেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতে আগত মুসল্লিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হয়েছে। জাতীয় মসজিদ ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হয়েছে। ডিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। ডিবি ও সিটিটিসির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে মোতায়েন রয়েছেন এবং পুরো এলাকায় আলাদা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে বাইতুল মোকাররমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. উকিল রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদুল আজহার জামাত ঘিরে রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং ঢাকার অন্যান্য স্থানে ঈদ জামাতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার একটি ঈদ জামাতও নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না।”