• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

তরুণদের ৬ মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ চায় জনতার দল

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪১ টাইম ভিউ
আপডেটঃ রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবেলা, যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলাসহ তরুণদের গড়ে তুলতে বাধ্যতামূলক ছয় মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ চায় জনতার দল। এর মধ্যে তিন মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ, তিন মাস উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণগুলো হতে হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এ ছাড়া সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে ম্যানুয়াল আকারে দিতে হবে। অটুট জাতি বিনির্মাণে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

গতকাল শনিবার ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ২ নম্বর হলে এই মতবিনিময়সভার আয়োজন করে জনতার দল।

প্রধান অতিথি ছিলেন জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান ও দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান।

এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। গতকালের মতবিনিময়সভা শেষে দেশের ৫৩টি জেলার ভূমিহীন আন্দোলনের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে জনতার দলে যোগ দেন। 

প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ডেল এইচ খান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কোনোভাবেই পরবর্তী নির্বাচন নয়। আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্ম।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সম্ভাব্য বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি বিবেচনায় তরুণদের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করা এবং মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান জরুরি। এর মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও জাতীয় দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা ও উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সামরিক প্রশিক্ষণ থাকলে পাশের যেকোনো দেশ অশুভ দৃষ্টি নিয়ে আমাদের দেশের দিকে তাকাতে পারবে না। বিশ্বের ৪৯টি দেশ এ ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের সরকারের এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ 

জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান বলেছেন, ‘১০টা হুন্ডা আর ২০টা গুণ্ডা দেখলে মানুষ এখনো আতঙ্কে থাকে—এই বুঝি আবার নতুন কাউকে চাঁদা দিতে হবে।

মানুষের মধ্যে এই আতঙ্ক কাটানো এবং দেশের ভেতরের শত্রু আর বাইরের শত্রু মোকাবেলায় আমাদের দেশের সব তরুণকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’ 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের সুবিধা ও অসুবিধা সবই রয়েছে। কিন্তু পানি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেনি। গঙ্গা চুক্তি একটি শুভংকরের ফাঁকি। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ভাতা নয়, কর্মসংস্থান ও সঠিক কাজ দিতে হবে। তাহলে প্রান্তিক মানুষ উঠে আসতে পারবে। শিক্ষিত ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব গড়ে তোলা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

গতকালের মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুবুল আলম, কর্নেল (অব.) আবুল কালাম জাকি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এস এম মতিউর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মো. মফিদুর রহমান, মো. আজম খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ মোহসীন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রশিদুল আলম, মেজর (অব.) মো. জাকির হোসেন, মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল ইমরান ও মেজর (অব.) মো. বদরুল আলম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনতার দলের সহদপ্তর সম্পাদক (মিডিয়া ও সংস্কৃতি) মো. আতিকুল ইসলাম জুনেদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর