গতকাল শনিবার ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ২ নম্বর হলে এই মতবিনিময়সভার আয়োজন করে জনতার দল।
প্রধান অতিথি ছিলেন জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান ও দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ডেল এইচ খান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কোনোভাবেই পরবর্তী নির্বাচন নয়। আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্ম।
জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান বলেছেন, ‘১০টা হুন্ডা আর ২০টা গুণ্ডা দেখলে মানুষ এখনো আতঙ্কে থাকে—এই বুঝি আবার নতুন কাউকে চাঁদা দিতে হবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের সুবিধা ও অসুবিধা সবই রয়েছে। কিন্তু পানি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেনি। গঙ্গা চুক্তি একটি শুভংকরের ফাঁকি। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ভাতা নয়, কর্মসংস্থান ও সঠিক কাজ দিতে হবে। তাহলে প্রান্তিক মানুষ উঠে আসতে পারবে। শিক্ষিত ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব গড়ে তোলা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
গতকালের মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুবুল আলম, কর্নেল (অব.) আবুল কালাম জাকি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এস এম মতিউর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মো. মফিদুর রহমান, মো. আজম খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ মোহসীন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রশিদুল আলম, মেজর (অব.) মো. জাকির হোসেন, মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল ইমরান ও মেজর (অব.) মো. বদরুল আলম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনতার দলের সহদপ্তর সম্পাদক (মিডিয়া ও সংস্কৃতি) মো. আতিকুল ইসলাম জুনেদ।