• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন

কাতারে ফল রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৩ টাইম ভিউ
আপডেটঃ শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

আম উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কিন্তু রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে।

আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে কাতারের দোহায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি আমমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটিতে ফল রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে। মেলায় পাঁচ লাখ কেজি ফল বিক্রির প্রত্যাশা আয়োজকদের। 

জানা গেছে, কাতারের দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে আগামী ২৫ জুন থেকে ১ জুলাই হতে যাওয়া সপ্তাহব্যাপী এই মেলায় ৬০টি স্টল অংশ নেবে।

কাতারের রাজধানী দোহার বাণিজ্য এলাকা খ্যাত সুক ওয়াকিফে অনুষ্ঠেয় এই মেলায় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা স্বল্প খরচে অংশ নিতে পারবেন। মেলায় ভালো জাতের আম, বোম্বাই লিচু, কাঁঠাল ও জাম প্রদর্শন ও বিক্রি করতে পারবেন দেশের উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াকরণ কম্পানিগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য স্টল নিতে পারবে। এই মেলা আয়োজনে সহযোগী পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করছে এম্পিরিক রিসার্চ লিমিটেড।
 

এ বিষয়ে কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আবদুল্লাহ আল রাজী কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, কাতার সরকারের সহযোগিতা নিয়ে প্রথমবারের মতো কাতারে বাংলাদেশি আমমেলা ২০২৫ আয়োজন করতে যাচ্ছেন। কাতারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সুক ওয়াকিফে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসবের লক্ষ্য হলো কাতারের ভোক্তা, আমদানিকারক ও পরিবেশকদের কাছে বাংলাদেশের আম ও আম সম্পর্কিত পণ্য এবং অন্যান্য মৌসুমি ফলের অনন্য স্বাদ, সুগন্ধ, গুণমান ও বৈচিত্র্য প্রদর্শন করা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ফলের খ্যাতি ও চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য মেলায় পণ্য আনার জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে কার্গো ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে এম্পিরিক রিসার্চ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশের উৎপাদনকারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা যাতে এ মেলায় অংশ নিতে পারেন সে জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা। মেলার মাধ্যমে কাতারের সঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্টলগুলো বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

সম্প্রতি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে তাজা ফলের বৈশ্বিক বাজার প্রায় ৭৭৮ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ২০২৪ সালে আমের বৈশ্বিক বাজার ছিল ৬৭.৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৭১.৯৮ বিলিয়ন ডলারে এবং ২০২৯ সালে ৯৭.৮২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।

কাতারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাতারে মূলত ভারত ও পাকিস্তান থেকেই বেশি ফল আসে। তবে নানা বাধায় কাতারে বাংলাদেশের সুস্বাদু ফল পৌঁছাতে পারে না। কিন্তু দেশটিতে চার বিলিয়ন ডলারের বেশি ফলের বাজার রয়েছে। সেই বাজারে প্রবেশ করতে গেলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আরো দক্ষভাবে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। তাহলে দেশটিতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলারের ফল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এই মেলার আয়োজন সেই সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলবে।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর