• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ‘সূর্যডিম’ আম ঝুলছে যশোরের খামারে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৯ টাইম ভিউ
আপডেটঃ রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

জাপানের বিখ্যাত সূর্যডিম (মিয়াজাকি) আম ঝুলছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি খামারে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই আম চাষে সাফল্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত খামার মালিক আসাদুর রহমান।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামের সরখোলা-মশিয়াহাটী সড়কের পাশে ‘দারুল আসাদ খামারবাড়ি’র গাছে ঝুলছে লাল রঙের সূর্যডিম (মিয়াজাকি) আম। এই খামারের মালিক গুয়াখোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আসাদুর রহমান।

দারুল আসাদ খামারবাড়ি ঘুরে দেখা গেছে, দুটি মাছের ঘেরের মাঝে (আইলে) সারিবদ্ধভাবে মিয়াজাকি আমগাছ লাগানো রয়েছে। গাছগুলো তেমন বড় না হলেও বোঁটায় বোঁটায় রঙিন আম ঝুলছে।

খামারের মালিক আসাদুর রহমান বলেন, ‘পত্রপত্রিকার খবর দেখে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগাছের চারা বাণিজ্যিকভাবে রোপণের সিদ্ধান্ত নিই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারত থেকে ৬৫টি চারাগাছ আমদানি করা হয়। একটি চারাগাছ আনতে খরচ হয় চার হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে ২৩টি গাছে আম ধরেছে। বাকি গাছগুলোতেও আম ধরতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে এক হাজার টাকা কেজি দরে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা রয়েছে।’

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ‘সূর্যডিম’ আম ঝুলছে যশোরের খামারে

জানা গেছে, জাপানের বিখ্যাত মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আমে অন্যান্য আমের চেয়ে ১৫ শতাংশ স্বাদ-গন্ধ ও মিষ্টতা বেশি। রংটাও ব্যতিক্রম। এসব বিশেষত্বের কারণে বিরল প্রজাতির মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। একটি আমের ওজন এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। জায়গার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় মিয়াজাকি। পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এই আমের মূল্য। কারণ দামের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান আম এটি।

জানা যায়, সূর্যের ডিম আম বা মিয়াজাকি আম একটি জাপানি আম। আন্তর্জাতিক বাজারে এটি ‘লাল আম’ নামে পরিচিত। জাপানি ‘তাইয়ো নো তামাগো’র অর্থ হচ্ছে সূর্যের ডিম। এই আম অনেকটাই মুরগির ডিমের মতো। আর আমের রংটাও যেহেতু লাল, তাই এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। জাপানের তাইয়ো নো তামাগো আম, বাংলা ভাষায় যার অর্থ সূর্যের ডিম আম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম। বিশ্বব্যাপী এই আম লাল আম হিসেবে অধিক পরিচিত। জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে অনেকে একে মিয়াজাকি আম নামেও ডাকে।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, ‘যশোর জেলার মধ্যে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মিয়াজাকি আমের চাষ শুরু করেছেন খামারি আসাদুর রহমান। আমি নিজে তার খামারে গিয়েছি, আমবাগান পরিদর্শন করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি তিনি সফল হবেন। এ ধরনের উদ্যোক্তাদের জন্য কারিগরি পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে কৃষি অফিস।’

এফএ/এমএস


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর