রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। মৃত ভেবে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ এসে নিথর দেহ দেখতে পায়। ময়নাতদন্তের জন্য তারা ওই ‘লাশ’ হাসপাতালের পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ তাঁর শরীর নড়ে ওঠে। তখন তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের মনতলা এলাকায় অজন্তা রাইস মিলের পেছনে উব্দাখালী নদীর তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন উপজেলা ডাকবাংলোর বিপরীত পাশে উব্দাখালী নদীর তীরে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। ওই ব্যক্তিকে মৃত ভেবে তাঁরা বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেনকে জানান।
ওসি ফিরোজ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদীর তীরে বস্ত্রহীন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন মৃত ভেবে পুলিশকে খবর দেন। কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে গিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে জানান, “ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।” পরে আমি সেখানে যাই। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। হঠাৎ ওই ব্যক্তির চোখ ও হাত নড়েচড়ে ওঠে। দ্রুত তাঁকে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।’
ফিরোজ হোসেন জানান, ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। তাঁর পিঠে কাঁচিজাতীয় কিছু দিয়ে এল আকৃতির মতো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতাবশত তাঁকে দুর্বৃত্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তসহ বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, ওই ব্যক্তির পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক; নড়াচড়া করার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।