• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

কর্মী নেবে ইতালি মৌসুমি ভিসায়

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪১ টাইম ভিউ
আপডেটঃ বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
Promi News BD

বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বা সিজনাল ভিসায় কর্মী নেবে ইতালি। দেশটির কৃষি ও পর্যটন খাতে এই কর্মীরা কাজ করতে যাবেন। গতকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-ইতালির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ইতালির সঙ্গে প্রথমবারের মতো মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি সমঝোতা স্মারক সই করেন। 

পরে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে প্রথম কোনো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।  বৈধ পথে অভিবাসন বৃৃদ্ধি করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। ইতালি গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা যেন নিরাপদে যেতে পারেন, ভালো পারিশ্রমিক পান, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর আমরা ছয়টা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য ইউরোপের দেশগুলোতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি করা, অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা।’ 

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ইতালির এই ভিসাটি ৯ মাস মেয়াদি হবে। মেয়াদ শেষে কর্মীরা দেশে ফিরে পুনরায় সেখানে কাজ করতে যেতে পারবেন।

সমঝোতা স্মারকটি পাঁচ বছরের জন্য করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০৩০ সালের ৫ মে পর্যন্ত স্মারকটির কার্যক্রম বলবৎ থাকবে। এরপর কোনো পক্ষ থেকে বাধা না এলে স্বাভাবিক নিয়মে স্মারকটি নবায়ন হয়ে যাবে। 

তবে এই স্মারকে কর্মীর কোটা, অভিবাসন ব্যয় ও কর্মীর বেতন নির্ধারিত হয়নি বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন দুই দেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করবে।

গ্রুপের বৈঠকে কর্মীর কোটা, অভিবাসন ব্যয় ও বেতন নির্ধারণ করা হবে। 

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘ইতালি সিজনাল ও নন-সিজনাল দুইভাবে লোক নেবে। আমাদের পরিকল্পনা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করব। তারা বছরে একবার করে মিটিং করবে। আমাদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার আছে। সেখানে ইতালির লোকজন এসে যেন আমাদের কর্মীদের তাঁদের ভাষা শেখাতে পারেন, আমরা এই বিষয়ে তাঁদের অনুরোধ করেছি। তাঁরা আমাদের অনুরোধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দূতাবাসে ভিসা কার্যক্রম যেন দ্রুত কার্যকর হয়, সেটি আমরা তাদের জানিয়েছি। এ ছাড়া ইতালিতে যারা বাংলাদেশি ছাত্র আছে, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া যেন সহজ হয়। অভিবাসনের দিক দিয়ে আমাদের যেন ইতালির সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছি।’

ইতালিতে কত লোক পাঠানো হবে, কোন কোন খাতে যাবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সমঝোতা স্মারকে এত ডিটেইলস থাকে না। বর্তমানে আমাদের যে কোটা আছে, সেটা বাড়ানো হবে। কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে ইতালি চিন্তা-ভাবনা করবে। অবৈধ পথে যাওয়া অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে।’

এ সময় ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা সব সময় শ্রমিকদের বৈধ পথে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করি। ইতালি সরকার দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে কাজ করে আসছে। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে দুটি দেশের বন্ধুত্ব আরো বাড়বে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর