‘তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে উড়ায়ে’ দিতে প্রভাতের অগ্নিচ্ছটায় আবহমান এ বাংলার দিগিদগন্ত উদ্ভাসিত করে আজ এলো নতুন দিন। আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতিকে অগ্নিস্নানে শূচি করে তুলতে আবার এসেছে বৈশাখ। শুভ নববর্ষ ১৪৩২। ‘দূরান্তের পলাতক বলাকার ঝাঁকে’ হারিয়ে গেল ১৪৩১। ‘আজি এ ঊষার পুণ্য লগনে’ বাঙালির কায়মনো প্রার্থনা : ‘যা কিছু ক্লেদ,গ্লানি পাপ মূঢ়তা, যা কিছু জীর্ণ-শীর্ণ-দীর্ণ, যা কিছু পুরাতন তা বৈশাখের রুদ্র দহনে পুড়ে হোক ছাই। বছরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক।’ বর্ষবরণের উৎসবের আমেজে মুখরিত আজ বাংলার চারিদিক। গাছের পাতার ফাঁক গলে প্রখর রোদ জানান দিচ্ছে প্রকৃতি নিজেই খুলে দিয়েছে বৈশাখের দুয়ার। বৈশাখের প্রতীক কৃষ্ণচূড়ার ডালেও লেগেছে আগুন। নতুনের আবাহনে কবিগুরুর সেই চিরায়ত সুর বাঙালির প্রাণে প্রাণে দ্যোতনা তুলবে : ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো হে . . . ।