উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি। রাতভর কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মত। সকালের দিকেও কুয়াশাচ্ছাদিত পথঘাট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে পঞ্চগড়ের জনজীবনে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিলো ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সকাল ৯টার পরও এ জেলায় সূর্যের দেখা নেই। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার।
গত তিনদিন ধরে এ জেলায় অনুভূত হচ্ছে তুলনামূলক তীব্র শীত। হিমেল বাতাসের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন শ্রমজীবীরা। হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারো বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।