• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন

পথেই কাটে ঈদ, মানুষকে নিরাপদে রাখাই পুলিশের আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৭ টাইম ভিউ
আপডেটঃ রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি ঈদগাহ ও ১,৬২১টি মসজিদসহ মোট ১,৭৩৯টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের আবহ বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিয়েছে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

 

শনিবার (৭ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনের সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “নাগরিকদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপনই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আমাদের সদস্যরা ঈদের দিনও মাঠে আছেন, যাতে কেউ কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন। ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় আছি।”

ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা
ঈদের সময় রাজধানীর যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক বিভাগ বিশেষ পরিকল্পনা নেয়। কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্ধারিত রুট ও সময় অনুসরণ নিশ্চিত করতে সড়কে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ।

 

 

ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, “কোরবানির পশুবাহী যান চলাচলের জন্য আলাদা রুট ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছিল। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দলও কাজ করেছে যানজট এড়াতে।”

 

ঈদে মানবিক পুলিশ
পুলিশ সদস্যদের অনেকেই ঈদের দিন পরিবার থেকে দূরে থাকলেও দায়িত্ব পালনে ছিলেন অটল। গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা, ঈদগাহের চারপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অথবা নাগরিকের পথ নির্দেশনা সবখানেই দেখা গেছে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা।

 

পল্টন থানা এলাকার কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল কবির বলেন, “পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারলেও এই শহরের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পেরে গর্ব হয়। ওদের হাসিমুখই আমাদের আনন্দ।”

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির ব্যবহার
এ বছর ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তায় ব্যবহার হয়েছে প্রযুক্তি। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে স্থাপন করা হয় সিসি ক্যামেরা। ছিল আর্চওয়ে ডিটেক্টর ও হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থাও। প্রতিটি জামাতস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন পোশাক ও সাদা পোশাকে।

পল্টনে এসআই হোসেন আলী বলেন,“জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ধানমন্ডি ঈদগাহসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জামাতস্থলে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন ছিল এবং কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই ঈদ জামাত সম্পন্ন হয়েছে।”

 

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা আবদুল কাদের বলেন, “প্রতিবার ঈদের দিনে আশপাশে বিশৃঙ্খলা থাকত, এবার অনেক গোছানো ও নিরাপদ মনে হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।”

 

ঈদের দিন গুলিস্তানের ফুটওভার ব্রিজে দেখা যায় এক পুলিশ সদস্য পানি বিতরণ করছেন পথচারীদের মাঝে। “এই গরমে অনেকেই জগে পানি নিতে পারেন না। তাই একটু সহায়তা করছি,” বললেন ওই সদস্য।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর