• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়ের সূর্যমুখী বাগান প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬ টাইম ভিউ
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

পঞ্চগড়েরর দেবীগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের সূর্যমুখী ফুলের বাগান দর্শনার্থীদের জন্য হয়ে উঠেছে নির্মল বিনোদনের এক অনন্য ঠিকানা। সূর্যমুখী ফুল তার সৌন্দর্য ও কৃষি গুরুত্বের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এটি তেল উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস। বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ বাড়ছে এই ফুলের। কম পানি লাগে, মাটির উর্বরতা বজায় রাখে ও তেল স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।

সরেজমিনে বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা ছবি তুলছেন, সেলফি নিচ্ছেন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে অনেকেই দূর থেকে ছুটে আসছেন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে।

দর্শনার্থী আসমাউল হুসনা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রথমবার সূর্যমুখী বাগানে এসে দারুণ লাগছে।

ছুরাইয়া আক্তার শান্ত মনি নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, আমি বান্ধবীদের সঙ্গে এসেছি। বাতাসে দুলতে থাকা ফুলগুলো যেন বসন্তের পরশ দিচ্ছে!

জানা গেছে, বছরের বিভিন্ন সময় এখানে নানা ধরনের বীজ উৎপাদন হয়। এ বছর চার একর জমিতে বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের চাষ করা হয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এর বীজ রোপণ করা হয়। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এই উদ্যোগটি।

প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোছাদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দর্শনার্থীদের উৎসাহিত করছি না, কারণ অতিরিক্ত ভিড় সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। সৌন্দর্য উপভোগের আকর্ষণে অনেকে আসছেন। তবে, এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। এই কেন্দ্র মূলত বীজ উৎপাদনের জন্য তৈরি, আর বীজের ক্ষতি হলে আর্থিক ক্ষতিরও মুখোমুখি হতে হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর