ময়মনসিংহ প্রতিনিধি–বাংলাদেশে একটা অভ্যুথানের পর অন্তবর্তী সরকার বেশ কিছু প্রশাসনে সংস্কারের উদ্দ্যোগ হাতে নিয়েছেন যা প্রশংশনীয়। নির্বাচন, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হতে হলে নির্বাচন কমিশনকে ঢালাও ভাবে কাঠামো পরিবর্তন হতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সৎ, নিরপেক্ষ সকল দলের উর্ধ্বে নিরপেক্ষ হতে হবে। কোন ভাবেই ভোট চলাকালীন কারচুপী কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না এবং প্রত্যেক স্তরে স্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশন থেকে উপজেলা নির্বাচন, প্রিজাইডিং অফিসার, রিটানিং অফিসার সকলকে ঐক্য পোষণ করতে হবে নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন।
নির্বাচনে কারচুপীর, প্রমাণ পেলে দলীয় এজেন্টদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদন্ড এবং জামিন না দেয়া। নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্যে অবহেলা এবং কোন পক্ষের সহায়তার প্রমাণ সাপেক্ষে চাকুরী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা। সংসদ- দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট এবং বাংলাদেশকে প্রদেশে বিভক্ত করা। প্রদেশের গর্ভনর হবে নিরপেক্ষ এবং দেশের সুশীল ব্যক্তিদের মধ্য থেকে। রাষ্ট্রপতি পূর্বে কোন দলের সংশ্লিষ্ট হলে তাকে নেয়া যাবেনা।
দেশের সুশীল সমাজের মধ্য থেকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনি এক মেয়াদের অধিক উক্ত পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে পি,এইচ,ডি কিংবা অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি কিংবা ব্যারিষ্টার। প্রধান মন্ত্রী দলীয়ভাবে সরাসরি ভোটের মাধ্যেমে নির্বাচিত হবেন। তিনি পরপর দুই বারের অধিক উক্ত পদে থাকতে পারবেন না।
নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ¯œাতকোত্তর সঙ্গে পি,এইচ,ডি উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার চিকিৎসক, কৃষিবিদ ইত্যাদি মান সম্মত হতে হবে। স্পীকারও উপরোক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার হতে হবে। স্পীকার সংসদে অধিষ্ঠিত থাকার পর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় স্পীকারের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী থাকতে হবে। দফতর বন্টন উক্ত বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। যেমনÑএকজন চিকিৎসক হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, কৃষিবিদ হবে কৃষি মন্ত্রী বা প্রতি মন্ত্রী। স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কমিশনারদের যোগ্যতা ¯œাতক হতে হবে। শুধু মাত্র উপজেলা পরিষদের পদটি বহাল থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটির প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। নির্বাচন একক ভাবে না হয়ে উপজেলা পরিষদ এবং পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন একত্রে হলে নির্বাচনী ব্যয় কমে আসবে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন হতে হলে সকল শাখা পর্যায়ে মাসিক কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে। ক্যাডার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী অবসর গ্রহণের ৫ বৎসর অতিক্রান্ত হবার পর তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দলের সদস্য হতে পারবেন। মাদকাসক্তসহ বিভিন্ন নেশাগ্রস্থ, ঘুষ, দুর্নীতি, নারী কেলেংকারীতে জড়িত প্রার্থীগণ নির্বাচনের পূর্বে কিংবা পরে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিভিন্ন দল যদি মনে করেন তাদের প্রয়োজনে কোট ঐক্যবদ্ধ হওয়া তবে নির্বাচনের ছয় মাস পূর্বে শরিকদল গুলো জোট আকারে ঘোষণা দেবেন এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনে যাবেন।
নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার পর সরকার গঠন করতে কোন দলকে শরীকদল হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেনা। এমনকি স্বতন্ত্রকারী প্রার্থীরাও সরকার গঠনে যোগদান করতে পারবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় সংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করবেন। জাতীয় সংসদ সদস্যদের উপজেলা পর্যায়ে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কথা শুনতে, জানতে, প্রণয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে উপজেলা পর্যায়ে সংসদ সদস্য কার্যালয় থাকা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সকল জয়ী প্রার্থীকে এই মর্মে অঙ্গিকার করবেন কোন উপঢৌকন, অসংখ্য তোরণ নির্মাণ ব্যয়, ইত্যাদিতে অহেতুক খরচ বাড়ানো এবং জ¦ালানী তেলের খরচ কমাতে, যানবাহন বহরের খরচ কমাতে হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে ভবিষ্যতে নির্বাচন সমূহে তত্ত¡াবধায়ক সরকার কিংবা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করি। তবে তত্ত¡াবধায়ক দেশের স্বার্থে উন্নয়ন কাজে এগিয়ে যাবে। তবে ঐ সময়কালীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাবী আদায় তাদের দায়িত্ব নহে, নতুন সরকারের দায়িত্ব। প্রতিষ্ঠান সমূহের যদি ন্যায্য দাবী থাকে তা পূরণ করবে নতুন নির্বাচিত সরকার।