তরমুজ চাষের সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক কৃষক। সুস্বাদু ফল তরমুজের ব্যাপক চাহিদা গ্রীষ্মকালে। চাহিদা থাকার কারণে চাষিরাও তরমুজ চাষে বেশ আগ্রহী।
তাই, আজকের আয়োজনে আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো।
অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় বেশ কিছুদিন থেকে ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এছাড়া, পতিত জমিতেও তরমুজ চাষে নেমেছেন কৃষকদের অনেকেই।
জাম্বু, গ্লোরি, ড্রাগন কিং (সুপ্রিম সীড)। ফিল্ডমাষ্টার, ওয়াল্ড কুইন, বিগ টপ, পাকিজা, সুইট ক্রাঞ্চ (এ আর মালিক)।
সুইট গ্রীন, সুইট ড্রাগন, গ্রীন ডায়মন্ড, সুগার কিং, কালো মানিক(ইস্পাহানি)।
ডক্টর সুপার, ব্ল্যাক জায়ান্ট (লাল তীর)। ড্রাগন, সুপার ড্রাগন (সিনজেন্টা)। পাওয়ার, উইনার, বিগ ফ্যামেলি ইত্যাদি।
সুগার বেবি জাতের তরমুজ দেশে খুব জনপ্রিয়। জাতটি বারো মাসই উৎপাদন করা যায়। আবার ইয়োলো বেরী তরমুজের উপরে হলুদ ও ভিতরে লাল এবং সাম্মাম জাতের তরমুজে উপরে গারো হলুদ ভিতরে লাল। এদের প্রতিটির ওজন হয় প্রায় ৫ কেজি করে।
তরমুজ ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে না। ফলটি চাষের জন্য প্রচুর সূর্যালোক প্রয়োজন। শুষ্ক,উষ্ণ ও প্রচুর সূর্যের আলো পায় এমন স্থানে তরমুজ ভালো হয়ে থাকে।
তরমুজ পাকার সময় সূর্যের আলোর অভাব হলে ফলের স্বাদ অর্থাৎ মিষ্টতা ও ঘ্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজ চাষের গড় তাপমাত্রা ২৫০ সেলসিয়াস ও ফল পাকার সময় ২৮০ থেকে ৩০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা সর্বাপেক্ষা উপযোগী।
তবে অধিক আর্দ্রতা তরমুজ চাষের জন্য ক্ষতিকর।
খুব সহজে পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত জমির পাশা-পাশি; উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
সাধারণত এ অঞ্চলের আবহাওয়া ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
এছাড়া, আগাম কিছু জাতের তরমুজ আছে যেগুলো নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত বপন করা যাবে।
তবে, এর জন্য শীতের হাত থেকে কচি চারা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তরমুজের কচি চারা রক্ষায় পলি টানেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
বীজ বোনার জন্য জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৫ দিন সর্বোত্তম।
তরমুজের জাতভেদে প্রতি শতকে ১.৫-২ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বপন করা যাবে।
চারা গজানোর পর প্রতি মাদায় ২টি করে চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে |
শীতকালে তরমুজ বীজের অঙ্কুরোদগম সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারণত বীজের অঙ্কুরোদগম জন্য তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৫-৩০ ডিগ্রি সে: প্রয়োজন। ১৫ ডিগ্রি সে: এর নিচের তাপমাত্রায় তরমুজের বীজ গজায় না৷
এজন্য-
চারা তৈরির জন্য ছোট ছোট পলিথিনের ব্যাগে বালি ও পচা গোবর সার ভর্তি করে প্রতি ব্যাগে একটি করে বীজ বপন করতে হবে।