• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন

ইফতারে আরবের ফল সাম্মাম, এক কেজির দাম ১৫০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬ টাইম ভিউ
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

কারওয়ান বাজারের এক দোকানে সাম্মাম ফলছবি -প্রথম আলো

আরবের ফল সাম্মাম এখন ইফতারের টেবিলে উঠেছে। দিন দিন এই ফল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবারের ইফতারের খাবারের তালিকায় অনেকেই সাম্মাম রাখছেন। তাই বাজারেও বেশ ভালোই সাম্মাম বেচাকেনা হচ্ছে। এই ফল খেতে অনেকটা বাঙ্গির মতো স্বাদ। বাইরের দিকটা দেখতে সবুজের মতো। এটি মূলত সৌদি আরবের ফল হিসেবেও পরিচিত।

আজ দুপুরে কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, এক কেজি সাম্মাম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। এক কেজিতে সাম্মাম ওঠে তিন থেকে চারটি। বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও সাম্মাম কেনায় বেশ আগ্রহ। অনেকে দামদর করছেন। কেউবা কিনছেন।

কারওয়ান বাজারের ফলের বাজারের চার-পাঁচটি দোকানে সাম্মাম পাওয়া যাচ্ছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো। রাজধানীর অন্য বড় বাজার ও সুপারশপগুলোতে এই ফল দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা মো. রিয়াজ তিন বছর ধরে অন্যান্য ফলের সঙ্গে সাম্মাম বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, রোজার মাসে ইফতারের সময় সাম্মামের মতো সুস্বাদু ফল রাখেন। এবার বেচাকেনাও বেশ ভালো। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি সাম্মাম বিক্রি করেন তিনি। রোজার কারণে সাম্মামের চাহিদা বেড়েছে।

ফলের দোকানে সাইদুর রহমান নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ‘ইফতারের সময় মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমী ফল রাখলে ভালো লাগে। বাসার সবাই পছন্দ করেন। তাই আজ এক কেজি সাম্মাম কিনলাম।’

আরব অঞ্চলের ফল হলেও এক দশক ধরে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সীমিত পরিসরে সাম্মামের ফলন হচ্ছে। মূলত রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বগুড়া অঞ্চলে সাম্মামের ফলন হয়। ৮-১০ বছর ধরে এই অঞ্চলের অনেকে এই ফল উৎপাদন করছেন। সরকারিভাবে নানা ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে সাম্মাম মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরে লাল। আরেক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ হলুদ আর ভেতরে লাল। যা অনেকের কাছে হানি ডোর নামেই পরিচিত। তবে দুটি ফলই খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। বীজ বপনের দুই-আড়াই মাসের মধ্যে সাম্মামগাছে ফল আসে। তিন মাসের মধ্যে এ ফল পরিপক্ব হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর