• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন

‘রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে সরকার থেকে বের হয়ে যাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩০ টাইম ভিউ
আপডেটঃ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
Nahid Islam
Nahid Islam

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টানাপড়েনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে সরকার থেকে বের হয়ে যাব।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিএনপির ‘কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে’।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে আরেকটা এক–এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত হিসেবে বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন,“এক–এগারো এবং মাইনাস টু-এর আলাপটা কিন্তু সর্বপ্রথম বিএনপিই রাজনীতির মাঠে এনেছে কিছুদিন আগে।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ‘সে কিন্তু স্ট্যাটাস দিয়েছে যে এটা অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার, একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে, এর আন্ডারে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। সো একই টোনে আমরা যখন কথা বলতে দেখছি, এটা কিন্তু একটা সন্দেহ তৈরি করে।”

আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শুক্রবার দেওয়া একটি পোস্টে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ‘অনির্বাচিত ও অসাংবিধানিক সরকার’। এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না এবং পরবর্তী নির্বাচন একটি নতুন (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের অধীন হতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গ
নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিচার কার্যক্রম, সংস্কার ও নির্বাচন—এ সবগুলোই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার হলেও বিএনপি কেন জানি মনে করে এই সরকারটা হয়েছে কেবল একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য।”
আর নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে তো আমরা নিরপেক্ষই মনে করছি। বিএনপি কেন মনে করছে না নিরপেক্ষ আচরণ, বিএনপির এটা স্পষ্ট করা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “একই সঙ্গে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বা সাংবিধানিক পদে যদি বিএনপিপন্থি লোকজন থাকে, সেটাও নিরপেক্ষতা লাগবে কি না, তাহলে সেটাও বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু এখন তো এটার সময় আসেনি।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “এ বছরের শেষ থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকাল এবং নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। সে পর্যন্ত ধৈর্য রেখে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সামনে এগোনো প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “যখন গুম বা জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম এগোনো হচ্ছে এবং সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে, হয়তো সামনের মাসেই আলোচনা, নেগোসিয়েশন, বারগেনিং (দরাদরি) শুরু হবে। বিএনপির বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের আলাপগুলোতে মনোযোগী হওয়া উচিত, বিচার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা উচিত, সে সময় তারা বলছে এ সরকারের চেয়ে নিরপেক্ষ একটা সরকার প্রয়োজন।”

তবে নানা বাদানুবাদ থাকলেও নাহিদ ইসলাম এবং বিএনপি নেতারা দেশ গঠনে সংঘাত বা বিভেদ সৃষ্টি না করার কথা বলেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর