ফকিহ আলেমরা বলেন, নেতার আনুগত্য শরিয়তের আনুকূল্যের ওপর নির্ভরশীল।
যে আনুগত্য ঈমান নষ্ট করে
কোরআন ও হাদিসে আনুগত্যের ক্ষেত্রেও শিরক থেকে বেঁচে থাকতে বলা হয়েছে।
পবিত্র আত্মার সহায়তায় তারা সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে ইলম লাদুন্নি (অলৌকিক জ্ঞান) লাভ করে। কাজেই তাদের ভুল হতে পারে না। তারা যা হালাল বলবে তা প্রকৃতই হালাল এবং তারা যা হারাম বলবে তা প্রকৃতই হারাম, যদিও তাওরাত ও ইনজিলের বক্তব্য ভিন্ন হয়। এরূপ আনুগত্যকে আল্লাহ শিরকের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিতদের এবং সংসার-বিরাগী দরবেশ-বুজুর্গদের প্রতিপালকরূপে গ্রহণ করেছে এবং মরিয়ম তনয় মাসিহকেও।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩১)
ফলে কারো বক্তব্যকে কোরআন ও হাদিসের ঊর্ধ্বে মনে করা, তার কথাকে শরিয়তের দলিলের মতো আবশ্যক মনে করা এবং শরিয়তের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কারো আনুগত্য করা ঈমানের পরিপন্থী। এমন আনুগত্য মানুষের ঈমন নষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন।