রাতের আকাশ তার খোলা ছাদ—এই ব্যবধানে গিয়ে দেখা যায়
থেকেও যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে আর
শুধু আন্দোলনরত গভীর বিষাদ
বসে আছে পাশে নিষ্পলক দুটি চোখ মেলে!
জেগে থাকে সারা রাত কালান্তর বুকের ফাঁকফোকরে
রহস্যাবৃত মুখগুলো সারিবদ্ধ যায় হেঁটে
হিমে সিক্ত পাতা থেকে ঝরে পড়ে গাঢ় বেদনার রং, মেখে রক্ত অশ্রু
টিনের চালায় এরপর নিকানো উঠানে
দাগ রেখে যায় নরম মাটিতে।
একাকী অভিন্ন ঘরে
তার সংসারের দীর্ঘ কাহিনিতে থাকে শুধু মানুষের কথকতা
খণ্ড খণ্ড বৃত্তে আঁকা জীবনের চালচিত্র। মনে হবে হয়তো কুহক
কিন্তু গলে যায় উষ্ণ স্পর্শে পাঁজরের হিমবাহ…।
কোনোটা শুধু রঙিন, কোনোটা ধূসর, বৃষ্টি মেঘের মতন অবনত
ভেসে যায় দিকচক্রবাল হয়ে বিজন প্রান্তরে।