ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে বদদোয়া করা : অনেক সময় আমরা অধৈর্য হয়ে ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে বদদোয়া করি। একবার নবীজি (সা.)-এর এক সফরে এক সাহাবি তাঁর উটের ওপর বিরক্ত হয়ে তাঁর উটকে অভিসম্পাত করে বসেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এর থেকে নেমে যাও। আর অভিশপ্ত উটটি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। তোমরা তোমাদের সন্তানদের ওপর এবং নিজের ধন-সম্পদের ওপরও বদদোয়া কোরো না। এমন যেন না হয় যে তোমরা এমন মুহূর্তে বদদোয়া করবে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া হয় এবং তা কবুল হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৪০৫)
মুমিনকে বদদোয়া করা : হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ঈমানদারকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য। (বুখারি, হাদিস : ৬১০৫)।
কোনো মুমিনের জন্য এ ধরনের কাজ করা শোভা পায় না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহ তাআলার অভিসম্পাত, তার গজব ও জাহান্নামের বদদোয়া কোরো না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬)
পরিবেশকে বদদোয়া দেওয়া : প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমরা অনেক সময় পরিবেশকে বদদোয়া করে বসি। অথচ নবীজি (সা.) এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেছেন। মহানবী (সা.)-এর যুগে এক ব্যক্তির চাদর বাতাসে ওলটপালট হয়ে গেলে সে বাতাসকে অভিশাপ দিল। নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি বাতাসকে লানত কোরো না, কেননা সে নির্দেশপ্রাপ্ত। যা অভিশাপযোগ্য নয়, কেউ তাকে অভিশাপ দিলে তা অভিশাপকারীর ওপরই পতিত হয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৮)