• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা নিয়ে মহানবীর কঠিন হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৩ টাইম ভিউ
আপডেটঃ শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা নিয়ে মহানবীর কঠিন হুঁশিয়ারি
মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা নিয়ে মহানবীর কঠিন হুঁশিয়ারি

আমরা অনেকেই নামাজ পড়ার জন্য আগে আগে মসজিদে চলে যাই। অনেকে আবার পবিত্র আসর নামাজ পড়তে গিয়ে মাগরিবের নামাজ শেষ করে বাসায় আসার চেষ্টা করি। দুই নামাজের মাঝখানের এই সময়টুকু অনেকে তিলাওয়াত, জিকির ইত্যাদির মাধ্যমে কাটাই। অনেকে আবার অন্য মুসল্লিদের সঙ্গে গল্প করে সময়টা পার করি।

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের মসজিদকে অবুঝ শিশু ও পাগলদের থেকে দূরে রাখো, তদ্রূপ ক্রয়-বিক্রয়, বিচার-আচার, উচ্চ স্বর, দণ্ড প্রদান ও তরবারি কোষমুক্ত করা থেকে বিরত থাকো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৫০)একটি হাদিসে মসজিদে উচ্চ আওয়াজ ও চেঁচামেচি কিয়ামতের নিদর্শন হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন লোকেরা জিহাদলব্ধ গনিমতের সম্পদকে নিজের সম্পত্তি বুঝবে, আমানতকে স্বীয় সম্পত্তি গণ্য করবে, জাকাতকে জরিমানা মনে করবে, দ্বিনি ইলম ছাড়া অন্য ইলম শিক্ষা করবে, পুরুষ স্ত্রীর তাঁবেদারি করবে, নিজ মায়ের নাফরমানি করবে, বন্ধুবান্ধবকে ঘনিষ্ঠ ভাববে আর আপন পিতাকে দূরবর্তী বলে বুঝবে, মসজিদে উচ্চ স্বর ও চেঁচামেচি বেড়ে যাবে, ফাসেক লোক সমাজের সর্দার হবে, সর্বাপেক্ষা নিচ প্রকৃতির লোক সমাজের কার্যভারপ্রাপ্ত হবে, জালিমকে তার জুলুমের ভয়ে লোক সম্মান করবে, নর্তকী ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তার লাভ করবে, মদ প্রচুর পরিমাণে পান করা হবে, পরে লোকেরা পূর্বপুরুষকে মন্দ বলবে, তখন তোমরা এরূপ বিপদের অপেক্ষা করতে থাকবে যে লাল বর্ণ প্রচণ্ড বায়ু অথবা ভূমিকম্প, জমিন ধসে যাওয়া, লোকের রূপান্তর হওয়া, পাথর বর্ষণ হওয়া ইত্যাদি পরিলক্ষিত হবে। আরো অনেক আপদ-বিপদ এমনভাবে ধারাবাহিক আসতে থাকবে, যেমন—মুক্তার মালা ছিঁড়ে গেলে দানাসমূহ খসে পড়তে থাকে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২২১০, ২২১১)

নাউজুবিল্লাহ। আমাদের সবার উচিত মসজিদে গিয়ে যতটুকু সম্ভব মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার চেষ্টা করা। এমন কোনো কাজে লিপ্ত না হওয়া, যা মসজিদের আদব ও সম্মানবহির্ভূত হয়। আল্লাহ সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর