মানুষ তার সাধ্যের ভেতরে চেষ্টা করে, আল্লাহ তা পূর্ণতা দান করেন, সফলতা দান করেন। প্রত্যাশিত বিষয় অর্জনের পর বান্দা যখন আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তখন সফলতাকে আরো অধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজই কল্যাণকর।
জবানের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় : অর্থাৎ ভাষার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। প্রাপ্ত নিয়ামতের জন্য আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায়ের আরেকটি দিক হলো, শরীরের দান করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন যখন সূর্য উঠে মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক গ্রন্থির সদকাহ দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। দুজন মানুষের মধ্যে ইনসাফ করা হচ্ছে সদকা, কোনো আরোহীকে তার বাহনের ওপর আরোহণ করতে বা তার ওপর বোঝা ওঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সদকা, ভালো কথা হচ্ছে সদকা, নামাজের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ হচ্ছে সদকা এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সদকা।’ (বুখারি, হাদিস : ২৯৮৯)
শারীরিক শুকরিয়া আদায় : অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার সব নিয়ামত ভোগ করে, শরীরের শক্তি সঞ্চার করে, আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট হওয়া। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের জীবিকারূপে যে উত্কৃষ্ট বস্তুসমূহ দিয়েছি, তা থেকে (যা ইচ্ছা) খাও এবং আল্লাহর শোকর আদায় করো, যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৭২)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে রাসুলরা! তোমরা পবিত্র বস্তুসমূহ থেকে (যা ইচ্ছা) খাও এবং সত্কর্ম করো। তোমরা যা করো নিশ্চয়ই আমি সে সম্পর্কে পূর্ণ অবগত।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৫১)