• শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

বিতাড়িত অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমানকে ‘অবতরণের অনুমতি দেয়নি মেক্সিকো’

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৮৮ টাইম ভিউ
আপডেটঃ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
USA
USA

মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানের অবতরণ অনুমোদন না দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যে অভিবাসন ইস্যুেত উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দুটি বিমান প্রায় ১৫০ অবৈধ অভিবাসীকে গুয়াতেমালায় নামিয়ে এলেও মেক্সিকোতে নামার অনুমতি না পাওয়ায় বিমানটি বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা ও মেক্সিকোর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথমবারের মতো এই খবর প্রকাশ করে এনবিসি নিউজ। তবে মেক্সিকোর পক্ষ থেকে কেন অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার রাতে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ‘উৎকৃষ্ট সম্পর্ক’ বিদ্যমান এবং তারা অভিবাসন সংক্রান্ত ইস্যুেত পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যখন প্রত্যাবাসনের বিষয় আসে, আমরা সবসময় আমাদের ভূখণ্ডে আগত মেক্সিকানদের দুই হাতে গ্রহণ করব।”

মেক্সিকোর বামপন্থি প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম কিছুদিন আগে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ কর্মসূচি পুনরায় চালুর জন্য মেক্সিকোর সম্মতি প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত তার সরকার এমন কোনো অনুমতি দেয়নি।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় দফায় অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প মেক্সিকোর সাথে সীমান্ত সমস্যা মোকাবেলায় ১,৫০০ অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন এবং মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।

এই ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পেন্টাগনের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সামরিক বিমান ব্যবহার করে অভিবাসীদের বহন করা অভিবাসন নীতির নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর